অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেছে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি দেখলেই আগুন ধরিয়ে দিতে।তিনি বলেন,আমি আমার ছাত্র-ভাই বন্ধুদেরকে বলবো,পরবর্তীতে যদি পুলিশের গাড়ি এখানে থাকে আগুন ধরিয়ে দিবেন।হামলার পর যদি মামলা দেওয়া হয়,আপনারা বলবেন,ডাকসুর ভিপি নুরের গরজে আগুন দিয়েছি।ক্যাম্পাসে পুলিশের গাড়ি থাকবে কেন? এটা কি ক্যান্টনমেন্ট?
তিনি এসব কথা বলেন,সোমবার ( ১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে।এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে।
ডাকসু’র সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর বলেন,যেকোনো সংকটে সারা দেশের মানুষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে।এক সময় এমপি-মন্ত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে পায়ের ধুলো নিতেন।আর এখন শিক্ষককেরা পদের জন্য এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ধন্না দেয়।এটা আমাদের জন্য লজ্জার।দলীয়করণ করতে করতে আজকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রের সকল কাঠামোকে।
ডাকসু’র সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে মনে করেন,লেখক মুশতাককে হত্যা করা হয়েছে।কারাগারের মতো জায়গায় একজন লেখককে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে।আপনারা জানেন তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন না।তাকে হত্যা করা হয়েছে।বাংলাদেশ থেকে আমরা শুধু বলছি না।মুশতাক হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করতে হবে বলছে আন্তর্জাতিক ১৩টি প্রেস।
সমাবেশে এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক রাশেদ খান,যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবি জানানো হয়-ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল,আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি, মুশতাক হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচার করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।তাদের মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে।-ছবি-তথ্য সংগৃহীত