অনলাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরা-মোংলা বন্দরের দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত নিয়ে এগিয়ে।মিঠাখালী গ্রামের বায়েজিদ শিকদার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে থাকেন ঘূর্ণিঝড় আঘাতের সময় ঘনিয়ে আসার খবরে।তারা কোনোরকমে আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে যান উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে।
দক্ষিণবঙ্গের মানুষ শুক্রবার গভীর রাতে যখন বুলবুলের আঘাত নিয়ে চরম আতঙ্কে সময় পার করছিলেন তার মধ্যে বায়েজিদ-হনুফা দম্পতির কোলজুড়ে আসে এক ফুটফুটে শিশু রাত সোয়া একটার দিকে।বুলবুলি নাম রাখা হয়েছে সেই শিশুর ‘বুলবুল’ ঝড়ের মধ্যে জন্ম নেওয়ার কারণে।হনুফার প্রসব বেদনার খবর পৌঁছে যায় বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী এটিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর কন্ট্রোল রুমে তদারকিতে থাকা বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কাছে। মোংলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশীতে সেখানে একজন প্রশিক্ষত নারী ধাত্রী ও চিকিৎসক নিয়ে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।ঐ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে যান সহকারী কমিশনার মোংলা উপজেলা হাসপাতালের ডা. রাশেদুল হাসান ও প্রশিক্ষিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাকে নিয়ে।সেখানেই হনুফা বেগম জন্ম দেন এক কন্যা শিশুর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের রাত ১টা ১৫ মিনিটে।তখনই শিশুটির নাম রাখা হয় ‘বুলবুলি’ ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সঙ্গে মিলিয়ে।বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ জানান,বুলবুলি রাখা হয়েছে শিশুটির নাম।সুস্থ রয়েছেন মা মেয়ে দুজনই। সন্তান ও মায়ের সার্বিক সহযোগিতা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের পক্ষে।
বি: দ্র: ছবি সংগ্রহকরা