সংবাদদাতা : মোঃ সাইফুল ইসলাম রায়হান,চারঘাট রাজশাহী।
অনলাইন ডেস্ক: বাঙালি কবি ও শিশুসাহিত্যিক কবি সুনির্মল বসু তার কবিতায় বলেছেন ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র।’ রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো যেনো সেটাই জানান দিচ্ছে। স্কুলের প্রতিটি দেয়াল যেন শিক্ষার এক একটি রঙিন ক্যানভাস।
ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের শতভাগ স্কুলগামী করতে এবং মানসম্মত পাঠদান নিশ্চিতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছেন চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজমুল হক ও শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা ইয়াসমীন। উপজেলার প্রতিটি স্কুলকে রাঙিয়ে তুলছেন লাল-সবুজের রঙে।
শিশুদের নজর কাড়তে দেয়ালে আঁকা হয়েছে নানা ধরনের ছবি। জাতীয় পতাকা, বর্ণমালা, স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার, ছয় ঋতুসহ নানা ধরনের চিত্রে বিদ্যালয়ের প্রতিটি দেয়াল যেন শিক্ষার এক একটি রঙিন ক্যানভাস।
বাদ পড়েনি বিদ্যালয়গুলোতে সদ্য নির্মিত সীমানা প্রাচীরও। সেখানেও লেখা হয়েছে মনীষীদের বাণী, আঁকা হয়েছে ফুল, ফল, পাখি, মিনা-রাজুর ছবিসহ শিক্ষামূলক সব অঙ্কন। শিক্ষকরা বলছেন, এ কার্যক্রমের ফলে ক্লাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও মুগ্ধ করেছে রঙের ছোঁয়ায় রাঙানো বিদ্যালয়।
ইতিমধ্যে উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘লাল-সবুজের ক্যানভাস’ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি বিদ্যালয় গুলোতেও ‘লাল-সবুজের ক্যানভাস’ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। ‘লাল-সবুজের ক্যানভাস’ তৈরির কাজে আর্থিক জোগান সহায়তা করছেন বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, উপজেলা শিক্ষা বিভাগ, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজের বিত্তবানরা। বাহারি শিশুবান্ধব এমন আয়োজনে শুধু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, উচ্ছ্বসিত অভিভাবকরাও। ভিন্নধর্মী এমন উদ্যোগের ফলে বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে শিশুরা। অভিভাবকরাও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিচ্ছেন।
আনোয়ার হোসেন, মমতাজ বেগমসহ কয়েকজন অভিভাবক জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এমন উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার আগ্রহ দেখে আমরা চিন্তামুক্ত। এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাহিদা আকতার বলেন, শিক্ষার্থীদের আরো বেশী স্কুলমুখী করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আমার হলিদাগাছি ক্লাস্টারের ২২ টি স্কুলের মধ্যে ২০ টি স্কুলে কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব কয়টি স্কুলেই এই ক্যানভাস তৈরি করা হবে।