ছবি এবং তথ্য – বিশিষ্ট সমাজ সেবক,যুব নেতা ও লেখক-মিনহাজ আহমেদ মাসুম,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক-দক্ষিন বনস্রী প্লট মালিক কল্যাণ সমিতি।
অনলাইন ডেস্ক: ইংরেজী নামঃ ব্ল্যাকবেরি আর বৈজ্ঞানিক নামঃ Syzygium cuminii পুষ্টিগুণঃ জাম একটি জনপ্রিয় ফল। জাম ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, লৌহ ও ক্যালসিয়াম আছে। কালোজামের ভিটামিন ‘সি’গরমে ঠান্ডাজনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম। এর ভিটামিন ‘এ’দৃষ্টিশক্তিকে করে শক্তিশালী। ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য জামে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি। জাম মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। আমেরিকার একদল গবেষক বলছেন, জামে যে উপাদান রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা ও বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এই ফল ভীষণ উপকারী। জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি। বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশ জাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। জামের মধ্যে পাওয়া গেছে ইলাজিক এসিড নামের এক ধরনের এসিডের উপস্থিতি, যা ত্বককে করে শক্তিশালী। সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে। এই ইলাজিক এসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। জাম লড়াই করে হৃৎপিন্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে।