
সংবাদদাতা: আলিফ হোসেন-তানোর-রাজশাহী।
অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহীর তানোরে সরকারি পাকা রাস্তা নস্ট করে ফের মাটি বাণিজ্য ও ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে।কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন নিরব ভুমিকা পালন করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এতে জনমনে প্রশ্ন,সরকারি সম্পদ (রাস্তা) রক্ষার দায়িত্ব কি উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না,যদি পড়ে তাহলে তারা নিরব ভুমিকা পালন করছেন কার স্বার্থে ?না কি নেপথ্যে অদৃশ্য কিছু রয়েছে।প্রশাসনের মদদ ব্যতিত প্রকাশ্যে দিবালোকে সরকারি পাকা রাস্তা নস্ট করে মাটি বানিজ্যে ও ফসলি জমি ভরাট হয় কিভাবে ? এসব দেখার কি কেউ নাই?
স্থানীয়রা জানান,উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) পাড়িশো,ধানুরা,মাদারিপুর ও হরিপুর গ্রামে চারটি মাটি কাটা ভেঁকু মেশিন ও প্রায় চল্লিশটি অবৈধ ট্রাক্টর (কাঁকড়া) দিয়ে ফসলি জমি ভরাটের প্রতিযোগীতা শুরু হয়েছে।আর এসব মাটি পরিবহণে পাকা রাস্টা নষ্ট করা হচ্ছে।
কামারগাঁ ইউপির অভ্যন্তরীণ সিংহভাগ রাস্তায় হালকা বৃষ্টি বা ভারী কুঁয়াশা হলে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়বে।এছাড়াও তানোর-চৌবাড়িয়া প্রধান সড়কে মাটির স্তুপ,একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়বে।অথচ ৬ মাসও হয়নি এই রাস্তাগুলো নির্মাণ করা।
ওভারলোড অবৈধ মাটির ট্রাক চলাচল করায় এবং ট্রাক থেকে মাটি পড়ে এরি মধ্যে রাস্তার বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।কৃষি কাজে ব্যবহৃত এসব ট্রাকের না কোন রোড পারমিট না আছে কোন বৈধ কাগজপত্র।কিন্ত্ত তারা রাস্তায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে।
এবিষয়ে কামারগাঁ ইউপি সদস্য লুৎফর হায়দার বলেন,ভেঁকু দালালদের চরম দৌরাত্ম তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।কিন্ত্ত তারা বার বার চেষ্টা করেও অবৈধ মাটি বাণিজ্য বন্ধ করতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন,কদিন পরেই এসএসসি পরীক্ষা,কিন্ত্ত ভেঁকু ও ট্রাক্টরের বিকট শব্দ ও ধুলাবালিতে জীবন অতিষ্ঠ,প্রশাসনকে বলেও কোনো কাজ হয়নি।তাই তারা গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভেঁকু দালাল বলেন,তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করেই মাটি কাটছেন।তাই জনগণের কথা শোনার টাইম নাই।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান,মাসিক মিটিংয়ে আমরা এই বিষয়টি তুলে ধরেছি।কোন ভাবেই যেন মাটি পরিবহনের ট্রাকের কারণে বা মাটি পড়ে রাস্তার ক্ষতি না হয় আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।