Home / রাজশাহী / তানোরে সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ উদ্বোধনের অপেক্ষায়।।

তানোরে সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ উদ্বোধনের অপেক্ষায়।।

সংবাদদাতা: আলিফ হোসেন-তানোর-রাজশাহী। 

অনলাইন ডেস্ক :    রাজশাহী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর প্রাণপন প্রচেষ্টায় তার নিজস্ব সম্পত্তি গড়ে তোলা হয়েছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত দৃষ্টনন্দন একাডেমিক ভবন।পাঁচতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন ও চারতলা বিশিষ্ট ওয়ার্কসপসহ কলেজের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে,এখন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের অপেক্ষা।

জানা গেছে,তানোর পৌরসভার কাশিম বাজার তানোর-রাজশাহী আঞ্চলিক সড়কের পাশে প্রায় এক একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ।কলেজটির মাধ্যমে বদলে যাবে শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।এখানে বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে হাজার হাজার বেকারের কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।কলেজের কার্যক্রম শুরু হলে পুরো এলাকার চিত্র বদলে যাবে।স্থানীয়রা এই কলেজ প্রতিষ্ঠার পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন সাংসদ ফারুক চৌধুরীকে।কারণ তিনি জমি না দিলে কলেজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ছিল না।

জানা গেছে,সরকার দেশের ১০০টি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্য সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেন।বিগত ২০২০ সালে তানোর পৌরসভার কাশিম বাজার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মান কাজ শুরু হয়।২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারী রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে ভাষনের আগে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পাঁচতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ও চারতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিদন্দন ওয়ার্কশপ ভবন নির্মান সম্পন্ন হয়েছে।প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি নির্মান করছেন মেসার্স ডেলটা ইঞ্জিনিয়ার্স এন্ড কনসোটিয়াম লিমিটেড ইএইচএ (জেভি) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।বাস্তবায়ন করেন জেলা শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর।

স্থানীয়রা জানান,সরকারি এই কলেজ নির্মানের জন্য পৌর সদরের বেশ কয়েকটি জায়গা পছন্দ করা হয়।তবে কেউ জায়গা না দেওয়ায় প্রকল্পটি তানোর থেকে ফেরত যাবার উপক্রম হয়েছিল।কিন্ত্ত তানোরের সন্তান হিসেবে তানোরের মানুষের কথা বিবেচনা করে সাংসদ ফারুক চৌধুরী তার নিজের জায়গা দান করেন।

উপজেলা শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ও আকচা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম উদ্দিন জানান,এমপি তানোরের সন্তান বলেই ১০০ উপজেলার মধ্যে তানোর উপজেলায় এমন একটি যুগোপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েছে।তিনি তানোরের সন্তান না হলে এই প্রতিষ্ঠান উপজেলাবাসীর ভাগ্যে জুটতো না।জায়গা না পাওয়ার কারনে তিনি নিজের জায়গা দিয়েছেন,তাও যাতে কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় উপজেলাবাসী। 

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান,প্রতিষ্ঠানটি জুনের দিকে চালু হবে।এমপি মহোদয়  জায়গা না দিলে প্রতিষ্ঠানটি হতো না।চালু হওয়ার পর উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন ঘটবে সেটা কল্পনাতীত পুরো চিত্রই বদলে যাবে।এটা সম্ভব হয়েছে এমপি মহোদয়ের জন্যই।তিনি জায়গা দিয়েছিলেন বলেই শুধু তানোরবাসী না আশপাশের কয়েক উপজেলার শিক্ষার্থীরা বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করে কর্ম করতে পারবেন। চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না।আমি এর সুফলের বিষয় বলে বোঝাতে পারব না,চালু হলেই বুঝতে পারবে তানোরবাসী কি পেয়েছেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান,যখন শুনলাম সদরে কেউ জায়গা দেয়নি,তখন এমপি মহোদয় নিজের জায়গা দিয়েছিলেন বলেই এত বড় শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।আসলে এত বড় প্রকল্প গ্রহনের জন্য সৎসাহসিকতার প্রয়োজন।উপজেলাবাসীর সৌভাগ্য যে এমন এমপি তারা পেয়েছেন।তিনি বলেন,১০০ উপজেলার মধ্যে এই উপজেলায় হচ্ছে টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজ।বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষার কত মুল্য সেটা চালুর পর এর উপকারিতা বুঝতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না জানান,সদরে জায়গার জন্য প্রচুর চেষ্টা করা হয়েছিল।না পাওয়ার কারনে যখন প্রকল্পটি অন্য উপজেলায় চলে যাবে তখন এমপি মহোদয় নিজের জায়গা দিলেন।কারন এত চেষ্টা করে প্রকল্পটি আনা হয়েছে আর জায়গার অভাবে হবে না এটা তিনি মানতেই পারেন নি।এজন্য নিজের জায়গা দিলেন।যাতে এই শিক্ষা থেকে আমার উপজেলাবাসী বঞ্চিত না হয়।তিনি এমন জায়গায় দিয়েছেন যা কোটি কোটি টাকা মূল্যের।যত দিন যাবে ততই এর মূল্য বৃদ্ধি পাবে।তিনি এসব না দেখে তিনি জায়গা দিলেন।কাশিম বাজারে এসব ভবনের দিকে তাকালে প্রান জুড়ে যায়।চালুর পর শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটবে যা কেউ চিন্তায় করেন নি।তবে এখন অনেকেই বলেন যদি এমপি জায়গা না দিত তাহলে এই প্রতিষ্ঠান হত না।কিয়ামত পর্যন্ত এমপির এই অবদানের কথা মনে রাখবে জনসাধারণ।

এবিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাছিম রেজা জানান,চলতি বছরের জুন মাসে চালু হবে।ভবন নির্মানের কাজ ইতিপূর্বেই শেষ হয়েছে।তানোর বাসীর গর্ব এমপি ফারুক চৌধূরীর মহোদয়ের মতো ব্যক্তি তানোরে জন্ম গ্রহন করেছিলেন।তিনি এমপি না হলে এবং জায়গা না দিলে কোনভাবেই টেকনিকাল স্কুল এন্ড কলেজ হতো না,তানোরবাসী বাড়ির পান্তা খেয়ে এখানে শিক্ষা নিতে পারতো না।এর পুরো কৃতিত্ব এমপি মহোদয়ের।এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিয়ে চাকরির জন্য ধরনা দিতে হবে না।এমপি মহোদয় কি করে দিল সেটা মানুষ আজীবন মনে রাখবে।তিনি শিক্ষার বিষয়ে অত্যান্ত আন্তরিক।তাছাড়া এপ্রতিষ্ঠান করা সম্ভব ছিল না।তিনি নামমাত্র মুল্যে জায়গা দিয়েছিলেন,বর্তমানে তার চারগুনের বেশিদাম এবং বাড়তেই থাকবে।তিনি সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনা থেকেই এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তার সুফলও পাবে জনসাধারণ।

About admin

Check Also

রমজানের রোজা পালনের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল।।

লেখক : আলহাজ্ব এ,টি,এম,মোফাখখারুল ইসলাম আকন্দ-বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ,সমাজসেবক,শিক্ষানুরাগী ও ব্যাবসায়ি। অনলাইন ডেস্ক :    বিসমিল্লাহির রাহমানির …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *