
সংবাদদাতা: আলিফ হোসেন-তানোর-রাজশাহী।
অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহীর তানোরে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মাইনুল ইসলাম ওরফে স্বপনকে সভাপতি ও প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকারকে সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।এতে বাদ পড়েছে গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল-মামুনের মতো নেতৃত্ব।
তৃণমুল এটাকে চাপিয়ে দেয়া কমিটি আঙ্খায়িত করে বলেন,দলে রাব্বানী ও মামুনের অপরাধ থাকতেই পারে,তবে সেই অপরাধের পরিমাণ এতো বেশী নয়,যে তাদের বিকল্প হিসেবে জনবিচ্ছিন্ন,গ্রহণযোগ্যহীন স্বপন ও প্রদিপ সরকারকে সভাপতি-সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব দিতে হবে।তাদের দাবি ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরীকে সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে সম্পাদক করার।কারণ প্রদিপ সরকার দুবার পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে পরাজিত এবং মাইনুল ইসলাম স্বপন কলমা ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে জামানত হারিয়েছে,এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে তারা কতটা জনবিচ্ছিন্ন।অথচ কলমা হচ্ছে আওয়ামী লীগের আঁতুড়ঘর এখানে নৌকা দিলে একজন দুধের শিশু বিজয়ী হবে এটা প্রায় নিশ্চিত।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন,তারা নতুন কমিটি হবে এটা জেনে অনেক আশাবাদী হয়েছিলেন।কিন্ত্ত কমিটি গঠনের পর তাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা উবে গেছে।কমিটি গঠনের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হতে চলেছে।অথচ এখানো তারা আওয়ামী লীগের একটি সফল কর্মসুচি করে দেখাতে পারেনি।এমনকি আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার মতো কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।কমিটি গঠনের পর নিয়োগবদলী,ঠিকাদারী,খাস পুকুর,গভীর নলকুপ, খাদ্যগুদাম ইত্যাদিতে বাণিজ্য করতে তাদের যে তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে,সাংগঠনিক কাজে তার ছিটেফোঁটাও দৃশ্যমান হয়নি।বরং উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে কোঁনঠাসা করে রাজনীতি করতে গিয়ে নিজেরাই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছেন,আওয়ামী লীগের তৃণমুলের হৃদয়েও পেরেক ঠুকে দেয়া হয়েছে।এতে নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলেও সাংসদের সম্মানের কথা ভেবে এতোদিন সবকিছু তারা মেনে নিয়েছে।তবে সাংসদের নাম ভাঙিয়ে সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্যে নিযে নেতাকর্মীরা ফুঁসে উঠেছে।বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি।কিন্ত মাঠের প্রকৃত চিত্র সাংসদের কাছে পৌচ্ছানো হচ্ছে না।অথচ সাংসদ যদি হয় বটগাছ, তবে ময়না সেই গাছের শেঁকড়।এটা যারা বোঝে না তারা রাজনৈতিক অবার্চীন।
বিগত দিনে তানোর ও গোদাগাড়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকগণ যখন সাংসদের বিরুদ্ধে দলের সভাপতির কাছে নালিশ করে সাংসদকে একা করতে চেয়েছিলেন,তখানো এরা সেই দলেই ছিলেন।তবে একজন ছিলেন ব্যতিক্রম তিনি হলেন ময়না।এসময় সাংসদের আহবানে ময়না মাঠে নেমে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের মোকাবেলা করেছিলেন।ময়না একটা আদর্শিক ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব সেটা তিনি তার কাজ দিয়ে বার বার প্রমাণ করেছেন।আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগ সবখানে ময়না এখানো সমান জনপ্রিয়,ময়না ব্যতিত তানোর আওয়ামী লীগের রাজনীতি অনেকট নাবিক বিহীন নৌকা বলে অভিমত তৃণমুলের।
জানা গেছে,আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি রাজনীতির মাঠে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।অথচ বিগত দিনে সাংসদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধতা ও দুর্বার সাংগঠনিক অবস্থানের কারণে জামায়াত-বিএনপি গর্তে ঢুকেছিল।তারা উপজেলা সদর তো পরের কথা কোনো মফস্বল এলাকায় কর্মসুচি দিতে সাহস পাইনি।কিন্ত্ত তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে হঠাৎ করেই জামায়াত-বিএনপি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।প্রত্যন্ত পল্লী থেকে শুরু করে উপজেলা সদর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে,দিচ্ছে একের পর এক কর্মসুচি।অথচ এর বিপরীতে আওয়ামী লীগের তেমন কোনো কর্মসুচি নাই।কিন্ত্ত কেনো আওয়ামী লীগের তো জনসমর্থন হ্রাস পায়নি,কমেনি নেতাকর্মীর সংখ্যা,বরং প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে অদৃশ্য একটা ক্ষোভ-অসন্তোসে নেতাকর্মীরা গুমরে গুমরে কাঁদছে।এটা প্রতিরোধ করতে না পারলে আগামিতে আওয়ামী লীগকে চরম মূল্য দিতে হবে।এদিকে দলের একাধিক জৈষ্ঠ নেতা দলে এমন পরিস্থিতির জন্য কিছু অরাজনৈতিক ব্যক্তির দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছে।তাদের অভিমত,অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা অতিমাত্রায় রাজনীতি করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে,তারা রাজনীতিবিদের হাতে রাজনীতির ভার দিতে নীতিনির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।