অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন,দেশের সব মহাসড়কে রিকশা,ভ্যানসহ সব গ্রামীণ যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা ধীরগতির লেন নির্মাণ করার।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন-সেই সঙ্গে দেশের জাতীয়,জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সব সড়ক পর্যায়ক্রমে প্রশস্ত ও পুরু করা এবং পুরনো সরু সেতু ভেঙে নতুন করে করার।এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার।পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা তুলে ধরেন।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন,প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং অর্থনৈতিক প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে,পর্যায়ক্রমে প্রশস্ত করতে হবে দেশের সব সড়ক।জাতীয়গুলো হবে,আঞ্চলিকগুলো হবে,জেলাগুলোও হবে।মান অনুযায়ী প্রশস্ত হবে প্রতিটি।আগের তুলনায় পুরু হবে প্রতিটি সড়ক,সড়কগুলো যাতে লোড বহন করতে পারে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন,যাতে নিরাপদে চলতে পারে মহাসড়কে স্লো মুভিং ভেহিকেল (রিকশা,ঠেলাগাড়ি),ব্যবস্থা থাকতে হবে তার।খালি দ্রুতগতির গাড়ি চলে যাবে ধুলা উড়িয়ে,মানুষ মেরে-তা সম্ভব নয়। সব সড়কে পুরো নিরাপত্তার সঙ্গে চলতে পারে ঠেলাগাড়ি,রিকশা,ভ্যানগাড়ি যেন।সাধারণ নির্দেশনা এটা প্রধানমন্ত্রীর।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন-মহাসড়কে আলাদা লেন করা হবে কি না জানতে চাইলে,লেন করা হবে আলাদা স্বল্পগতির। বিশ্রামাগারও থাকতে হবে নির্দিষ্ট দূরত্বে।ভেঙে বড় করব আগের সরু সেতুগুলো।যোগ করেন এম এ মান্নান-কাজ শুরু হয়েছে অনেক জায়গায়ইতোমধ্যে।পরিকল্পনামন্ত্রী উল্লেখ করেন,মানসম্পন্ন কাজের জন্য নজরদারিও বাড়ানো হবে বলে।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন,একসঙ্গে পারব না সব সড়কই।তবে কাজ শুরু হলে সব সড়ক পর্যায়ক্রমে পুরু ও প্রশস্ত করা হবে।তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একনেক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
(বি:দ্র: ফাইল ছবি -তথ্য সংগ্রহকরা)