অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশি তরুণী তনিমা তাসনিম অনন্যা সায়েন্স নিউজ নামের একটি গণমাধ্যমের বিচারে বাছাই করা ১০ বিজ্ঞানীর একজন হয়েছেন।তিনি এই স্বীকৃতি পেয়েছেন কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য।এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে।
তথ্যমতে জানাযায়,তনিমা তাসনিম ‘এসএন টেন: সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ নামের এই তালিকায় শুরুতেই স্থান পেয়েছেন। তিনি এই সম্মাননা পেয়েছেন কৃষ্ণগহ্বরের নিখুঁত ছবি তৈরি করার কারণে।
তথ্যমতে জানাযায়,সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে লেখা আছে,তনিমা তাসনিম একজন মহাকাশবিজ্ঞানী।তিনি যুক্ত আছেন বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের সঙ্গে।কৃষ্ণগহ্বরের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এঁকেছেন একসময় ঢাকার বাসিন্দা তনিমা।তাতে তিনি দেখিয়েছেন,কীভাবে কৃষ্ণগহ্বরগুলো বেড়ে ওঠে এবং পরিবেশে কী প্রভাব রাখে।তিনি এ কাজ করেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে।গবেষণার এ কাজকেই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছে সায়েন্স নিউজ।একে অভিহিত করা হয়েছে ‘অসাধারণ গবেষণা’ বলেও।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে আরো লেখা হয়েছে,পাঁচ বছর বয়সে ঢাকায় থাকার সময় থেকেই তনিমা তাসনিমের মধ্যে মহাকাশের স্বপ্ন বুনে দেন তাঁর মা।তিনি মেয়েকে তখন শোনাতেন মঙ্গলে অভিযানে যাওয়া পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের গল্প।তনিমার সেই থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। তিনি জানান,মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখতেন ওই সময় থেকেই।এর আগে নাসা ও সার্নে ইন্টার্নশিপ করেছেন তনিমা তাসনিম।এ ছাড়া তিনি কিছুদিন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়াশোনা করেছেন।তনিমা তাসনিম ২০১৯ সালে ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সায়েন্স নিউজ।এটি একটি স্বাধীন ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান।বিজ্ঞান,ওষুধ ও প্রযুক্তির হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করাই এর প্রধান লক্ষ্য।ছয় বছর আগ থেকে তরুণ ও ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি থাকা বিজ্ঞানীদের একটি শীর্ষ তালিকা প্রস্তুত করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান।৪০ বছর বা তার কম বয়সী বিজ্ঞানীরা স্থান পেয়ে থাকেন এই তালিকায় ।
*ছবি-তথ্য সংগৃহীত*