অনলাইন ডেস্ক : মোবাইল ব্যাংকিং খুবই জনপ্রিয় বর্তমানে।রেজিস্ট্রেশন করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছেন গ্রামীণ ফোন,রবি,টেলিটক,বাংলালিংক ও এয়ারটেল গ্রাহকরা।প্রতিনিয়ই মানুষ কিছু সমস্যায় পড়ে থাকে সেবা নিতে গিয়ে।আর্থিক লেনদেনে অসাবধানতাবশত ভুল নম্বরে টাকা চলে যায় অনেক সময়।এই ভুলটি হয়ে থাকে মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আর্থিক লেনদেন করায়। অনেকেরই টাকা খোয়া যায় এ সমস্যায় পড়ে।তাই এমন ভুল হয়ে গেলে টাকা ফেরত পেতে কী কী করণীয় বিকাশ তার একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রথমেই যে পরামর্শ দিচ্ছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ তা হলো,টাকা ভুল নম্বরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে ফোন দেবেন না।কারণ ভুলবশত অন্য নম্বরে টাকা চলে গেলে,তা ফিরিয়ে দেওয়ার মানসিকতা খুব কম লোকই রাখে।তাই তিনি টাকা উঠিয়ে ফেললে,কিছুই করার থাকবে না ভুক্তভোগীর।
অ্যাকাউন্ট থেকে ভুলবশত কোনো নম্বরে টাকা গেলে সে জন্য বিকাশ প্রথমে যোগাযোগ করতে বলেছে নিকটস্থ থানায়।সেখানে ট্রানজেকশন নাম্বার নিয়ে জিডি করে যত দ্রুত সম্ভব সেই জিডি কপি নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিকাশ অফিসে।বিকাশ অফিসে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে জিডি কপি এবং মেসেজ খতিয়ে দেখেন বিকাশ কর্মকর্তারা।এরপর ভুলে টাকা চলে গেলে টেম্পোরারি লক করে দেয় ওই ব্যক্তির বিকাশ অ্যাকাউন্ট।তিনি যাতে তুলতে না পারেন কোনো টাকা।
বিকাশ কর্মকর্তারা এর পরক্ষণই ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।প্রাপক ফোন ধরে যদি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই টাকা নিজের নয় বলে জানায়,তখন অফিস থেকেই টাকাটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে বিকাশ স্থানান্তর করে দেয়।আর যদি ওই ব্যক্তি নিজের টাকা বলে দাবি করেন,তা হলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে প্রমাণসহ অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট ঠিক করে নিতে বিকাশ কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয়।
সেই নির্দেশনা না মেনে পরবর্তী ৬ মাসে ব্যক্তি না এলে টাকা পৌঁছে যাবে ভুক্তভোগী প্রেরকের অ্যাকাউন্টে। এর পরবর্তী ৬ মাসেও না এলে চিরতরের জন্য অটো ডিজেবল হয়ে যাবে অ্যাকাউন্টটি।উল্লেখ্য,এই পদ্ধতি শুধু বিকাশেই নয়,রকেট এবং নগদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এই পদ্ধতি।
*ফাইল ছবি-তথ্য সংগ্রহকরা*