অনলাইন ডেস্ক: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের টেকনাফে আটক রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা,সন্ত্রাসী ও ইয়াবা গডফাদার নুর মোহাম্মদকে নিয়ে।ওসি তদন্তসহ ৩জন পুলিশ আহত,ঘটনাস্থল হতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এই ঘটনা ঘটে রবিবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায়।
পুলিশ জানায়,আটক মৃত রোহিঙ্গা কালা মিয়ার ছেলে দুধর্ষ সন্ত্রাসী নূর মোহাম্মদকে (৩৪) নিয়ে উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ি জনপদের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার অভিযানে যায় রবিবার ভোর পৌনে ৬টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশের দল।পুলিশকে লক্ষ্য এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে নূর মোহাম্মদকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এই সময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠন এবং মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের সশস্ত্র সদস্যরা।আহত হয় এতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা (৩৬),কনস্টেবল আশেদুল (২১),অন্তর চৌধুরী (২১)।হামলাকারীরা গভীর পাহাড়ের দিকে চলে যায় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে আধ ঘণ্টাব্যাপী ৪০/৫০ রাউন্ড পাল্টা গুলিবর্ষণ করার পর।কিছুক্ষণ পর গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ৪টি এলজি,১টি থ্রি কোয়াটার,১৮ রাউন্ড গুলি,২০ রাউন্ড খালি খোসাসহ।সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর মোহাম্মদকে মৃত ঘোষণা করেন।এই ঘটনার খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এই ব্যাপারে জানান,মোস্ট ওয়ান্টেড একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার আসামি নূর মোহাম্মদকে নিয়ে আস্তানায় অভিযানে গেলে তার বাহিনীর গুলিতে থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সহ ৩জন আহত হয়।আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে পুলিশ।ঘটনাস্থল হতে উপরোক্ত অস্ত্রাদি ও গুলিবিদ্ধ নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সেখানে।মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে মৃতদেহ।তথ্যমতে,জানাযায়-এলাকাবাসী স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী,মাদক কারবারী ও রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা বন্দুকযুদ্ধের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায়।মিষ্টি বিতরণ করেছে অনেকে। (বি:দ্র: ফাইল ছবি-তথ্য সংগ্রহকরা)