অনলাইন ডেস্ক: রেণু হত্যা মামলার প্রধান আসামি হৃদয়-রাজধানীর বাড্ডায় স্কুলে তাসলিমা বেগম রেণুকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনি দেয় এমন ৭-৮ জনের নাম বলেছে।সে পুলিশকে নানা তথ্য দিয়েছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে।সে গণপিটুনিতে অংশ নেয় ঘটনার দিন স্কুল গেটে থাকা এক নারীর প্ররোচনায়।এই তথ্য জানান ডিবির এডিশনাল কমিশনার আবদুল বাতেন,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার।ডিবির এডিশনাল কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন,হৃদয় যাদের নাম বলেছে তদন্ত ও গ্রেফতারের স্বার্থে আমরা তাদের নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করছি না।যে অভিভাবক রেণুকে ছেলেধরা বলে সম্বোধন করেছিলেন,আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি তার বিষয়েও এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বাকিদের।আদালত ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন বুধবার দুপুরের পর তাকে আদালতে নেয়া হলে।পুলিশ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে বুধবার বিকালে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন শুনানি শেষে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির এডিশনাল কমিশনার বলেন,সে জানিয়েছে,ওই নারীকে (রেণু) বাইরে বের করে আনে আরও ১০-১৫ জন দরজা ভেঙে। এরপর তাকে মারধর করে তারা। গণপিটুনির একপর্যায়ে রেণুর মৃত্যু হয়।ডিবির এডিশনাল কমিশনার আরো বলেন,মা-বাবা নেই গ্রেফতার হৃদয়ের।ওই এলাকার সবজি বিক্রেতা সে।সে ওই স্কুলের পাশে সবজি বিক্রি করছিল ঘটনার দিন।সেদিন ওই নারী (রেণু) স্কুলে তার সন্তান ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে এলে একজন অভিভাবক তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন।এই সময় ওই অভিভাবকের সন্দেহ হলে রেণুকে ছেলেধরা বলে সম্বোধন করেন।হৃদয় এই কথা শুনে সবজি বিক্রি রেখে সেখানে ছুটে যায়।এই সময় সেখানে হৃদয় এবং ওই অভিভাবকসহ ১৫-২০ জন লোকের একটা জটলা তৈরি হয়।
এর মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভিকটিম রেণুকে তাদের স্কুলের একটি রুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে।একপর্যায়ে ছোট জটলাটি বড় জটলায় রূপ নেয় এবং ছড়িয়ে পড়ে ছেলেধরা গুজব।স্কুলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে এরপর লোকজন উত্তেজিত হয়ে। স্কুলের ভেতরে ঢুকে পড়ে একপর্যায়ে ১০-১৫ জনের একটি দল।ওই নারীকে বাইরে বের করে নিয়ে আসে তারা তালা ভেঙে এবং গণপিটুনি দেয় তাকে।রেণু এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।ডিবির এডিশনাল কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন,এই ঘটনার পরে হৃদয় যখন জানতে পারে পুলিশ তাকে খুঁজছে,তখন সে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় পালিয়ে যায়।মাথার চুল ন্যাড়া করে ফেলে গ্রেফতার এড়াতে।ঢাকায় তার নানির সঙ্গে থাকতো সে।সে নানিকে বলে,পুড়িয়ে ফেলতে তার জামাকাপড়গুলো।আমরা হৃদয়কে গ্রেফতার করি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে এবং উদ্ধার করি তার ব্যবহৃত কাপড়গুলো।
(বি:দ্র: ছবি-তথ্য সংগ্রহকরা)