অনলাইন ডেস্ক: মোগল আমলের আগে থেকেই রাজা বাদশা ও নবাব পরিবার ঢাকার জামদানি জাদুতে মুগদ্য ছিলেন।বর্তমানে জামদানি নানা স্থানে তৈরী করা হলেও ঢাকাকেই জামদানির আদি জন্মস্থান বলে গণ্য করা হয়।জামদানি বয়নের অতুলনীয় পদ্বতি উনেস্কো কতৃক একটি অন্যন্য সাধারণ কালচারাল হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।বাংলাদেশের গর্বের এই ঐতিহ্য জামদানিকে বিশ্ব ব্যাপী পরিচিত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন নন্দিত ফ্যাশন ডিজাইনার পরমা সায়ন্তনী।
এরই ধারাবাহিকতায় গত এপ্রিল মাসে জামদানি নিয়ে লেখা এই তরুণীর বই প্রকাশ করেছি বিশ্বখ্যাত প্রকাশনী সংস্থা লেম্বার্ট একাডেমিক পাবলিসিং।দি ট্রাডিশনাল আর্ট অফ জামদানি উইভিং।গবেষণা ধর্মী প্রবন্ধ ছাড়াও এই বইয়ে সংযোজন করা হয়েছে জামদানির ১১১ টি ডিজাইন কালেকশন।তিনি বাংলাদেশের বিজিএমইএ উনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি থেকে ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজির উপরে অনার্স কমপ্লিট করে।পরমা সায়ন্তনী দক্ষিণ কোরিয়ার হানসিউ উনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইন ও ফাইন আর্টস নিয়ে মাস্টার্স করে সেখানে এসিষ্টেন প্রফেসর হিসাবে কাজ করেছেন।ফ্যাশন ডিজাইন ও পেইন্টিংয়ে ১০ টি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড অর্জন কারী পরমা সায়ন্তনী জামদানিকে ফ্যাশন বিশ্বে নতুন রূপে তুলে ধরার জন্যে কাজ করে যেতে চান।
পরমার বাবা সরদার শামসুল ইসলাম ঢাকা উনিভার্সিটি চারুকলা বিভাগ থেকে অধ্যায়ন করেছেন এবং মা নাসিমা আক্তার একজন সুনাম ধন্য ডাক্তার/চিকিস্যক।বাবা এবং মায়ের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছেন পরমা।বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রথমবারের মতো জামদানি নিয়ে মেয়ের বই প্রকাশিত হওয়ায় উচ্ছসিত পরমা সায়ন্তনীর বাবা সরদার শামসুল ইসলাম।
পরমাদের আদি নিবাস বরিশালে হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকায়।বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া ও চায়না সহ বিভিন্ন দেশে এগজিবিশনে অংশ নিয়েছেন পরমা সায়ন্তনী।জামদানিকে টিকিয়ে রাখতে হলে সমিহিত উদযোগের তাগিদ দিলেন পরমা সায়ন্তনী।