অনলাইন ডেস্ক : শিবচর উপজেলা প্রশাসন এবার মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে স্পীডবোট চলাচল ঠেকাতে স্পীডবোটের পাখা খুলে নিয়ে গেছে।জানা গেছে-অবৈধভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঈদ মৌসুমে যাতে স্পিডবোট ও ট্রলার যাত্রীবহন না করতে পারে সে জন্যই প্রশাসনের এই পদক্ষেপ।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামানের নেতৃত্ব শুক্রবার (৭ মে) শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় তারা খুলে নেয় নোঙর করা প্রায় ৩৯টি বোটের পাখা।
তথ্যমতে জানাযায়,করোনার কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে অবৈধভাবে পারাপার ঠেকাতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধে উপজেলা প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে।অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে গত সোমবার কাঁঠালবাড়ী ঘাটে স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষে ২৬ যাত্রী নিহত হওয়ার পর।তারই অংশ হিসেবে প্রশাসন শুক্রবার দুপুরে ঘাটে নোঙ্গর করা স্পীডবোটগুলোর পাখা খুলে নেয়।এতে করে আর সুযোগ থাকছে না ঘাটে স্পীডবোট চলাচলের।
তথ্যমতে জানাযায়,শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান বলেন,সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে বাংলাবাজার ঘাট থেকে কোন লঞ্চ,স্পিডবোট,ট্রলার ছাড়তে পারবে না।ইতিমধ্যেই স্পিডবোট ও ট্রলারের পাখা খুলে নেওয়া হয়েছে।প্রতিটি স্পিডবোটে নির্ধারিত আসন তৈরি করে যাত্রী পারাপার করতে হবে।এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এছাড়াও চালকদের তিন মাস অন্তর অন্তর ডোপটেস্ট করা হবে।মাদকাসক্ত এবং ১৮ বছরের কাউকে কোন অবস্থাতেই রাখা যাবে না চালক হিসেবে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিরাজ হোসেন ও বাংলাবাজার স্পীডবোট ঘাটের মালিক সমিতির সভাপতি ও শিবচরের পাঁচ্চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার (৩ মে) মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পিডবোট মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় নিহত হয় স্পিডবোটের ২৬ যাত্রী। প্রতীকী ছবি-তথ্য সংগৃহীত