অনলাইন ডেস্ক: মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন,বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ওরফে মিন্নি জড়িত ছিলেন।গণমাধ্যমে এই তথ্য জানাতে গিয়ে তিনি বলেন বুধবার,মিন্নি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে মূল হত্যাকারী নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন,এই হত্যার পরিকল্পনা করে ঘটনার আগের দিন মিন্নি নয়ন বন্ডদের বাড়িতে গিয়ে।এই হত্যায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সংশ্লিষ্টতার কথা জানায়,এই হত্যাকাণ্ডের ৬ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে।
তিনি আরও বলেন দ্বিতীয় ভিডিও ফুটেজের কথা উল্লেখ করে,ফুটেজে মিন্নি রিফাত শরীফকে রক্ষার যে চেষ্টা করে সেখানে সে নয়নকে জাপটে ধরলেও তাকে (মিন্নি) কোনো আঘাত করেনি।লোক দেখানো ছিল এটা।এই হত্যাকাণ্ডে মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে ঘটনার আগের দিন এবং ঘটনার পূর্বে নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির মুঠোফোনের আলাপ-আলোচনা থেকে।মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিই ছিলেন ১ নম্বর সাক্ষী স্বামীর হত্যাকাণ্ড নিজ চোখে দেখায়।তাকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করে বরগুনা পুলিশ রিফাত হত্যায় জড়িত প্রতীয়মান হওয়ায়।বরগুনা পুলিশ এর আগে তিনি সহ তার পরিবারকে হেফাজতে নেয়।
আদালত আজ মিন্নির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন গ্রেপ্তারের পর।এই আদেশ দেন,বরগুনার বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী।আদালতে হাজির করা হয় পরে তাকে কড়া পুলিশ প্রহরায়।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির মিন্নিকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানান আদালতে।আদালত পরে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে।রিফাতের মৃত্যু হয় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেলা তিনটার দিকে।
ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন পরের দিন।এজাহারভুক্ত সাতজন (ছয়জন জীবিত) ও সন্দেহজনক সাতজন আসামিসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত এই মামলায়।১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তার চারজন এবং সন্দেহজনক ছয়জন আসামিসহ মোট ১০ জনকে।আদালতের অনুমতিক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভুক্ত দুজন এবং সন্দেহজনক একজনসহ মোট তিন আসামিকে।পুলিশ এই মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে।
(বি:দ্র: ছবি-তথ্য সংগ্রহকরা)