অনলাইন ডেস্ক: চাঁদপুর মেঘনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ২০০ মিটার ব্লক ধসে পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ওই এলাকার সেমি পাকা ও টিনের ১৫টি বসতঘর ভেঙে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত।হরিসভা এলাকার ৪টি মন্দির ও চলাচলের সড়ক হুমকির মুখে রয়েছে।সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে,হুমকির মুখে থাকা বহু বসতঘর ভেঙে। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ওই এলাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ।ভাঙন শুরু হয় শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে।ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে রাতেই ঘটনাস্থলে বালি ভর্তি ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তথ্যমতে,জানাযায়-সুভাষ চন্দ্র রায় চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জানান,আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি ভাঙন শুরু হওয়ার পরেই।একই স্থানে ভাঙন দেখা দেয় গত বছরও।শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি রক্ষায় স্পেশাল বরাদ্দ দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন না করায়।আরো বসতিসহ হরিসভা,কালি,স্কন ও লোকনাথ মন্দির মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এই অবস্থায় ভাঙন অব্যাহত থাকলে।
তথ্যমতে,জানাযায়-মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জানান, ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় রাতেই।ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে।সেখানে বর্তমানে অবস্থান করছেন পুলিশ,দমকল বাহিনীর সদস্যরা।তথ্যমতে,জানাযায়-আবু রায়হান পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান,একই স্থানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে গত কয়েক বছরই।প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় প্রতিবছর সমস্যা হচ্ছে,পুরাণ বাজার এলাকার বাকি অংশ ভাল থাকলেও।তাৎক্ষণিক জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি আমরা।স্থায়ী বাঁধ দেওয়া হবে পরবর্তীতে ব্লক ফেলে।
(বি:দ্র: ছবি-তথ্য সংগ্রহকরা)