অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সকল প্রকার সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার দাবিতে গণশপথ নিয়েছেন।এই কর্মসূচি পালিত হয় বুধবার দুপুরে বুয়েট মিলনায়তনে।এই সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার পর থেকেই তার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে। আজকের গণশপথের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা এই আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, মাঠের আন্দোলনের ইতি ঘটলেও প্রশাসনের দেওয়া আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
গণশপথের জন্য বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জমায়েত হন শিক্ষার্থীরা সকাল ১১টা থেকে।দুপুর ১২টায় গণশপথ হওয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দুপুর দেড়টার দিকে শেষ হয়।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার জানান,আসামিদের চার্জশিট হওয়ার পর অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত তারা কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন,গণশপথের মধ্য দিয়ে আন্দোলন শেষ হবে।আমাদের প্রস্তুতি শেষ। কিছুক্ষণের মধ্যে শপথ শুরু হবে।আমাদের মাঠের আন্দোলন শেষ হলেও দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে চলবে পর্যোবেক্ষণ।
প্রসঙ্গত,বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় গত ৬ অক্টোবর রাত তিনটার দিকে।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে।আবরারের বাবা এই ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পর দিন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।এই মামলার এজাহারভুক্ত ১৯ আসামিসহ এই পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার পুলিশ করেছে। শিক্ষার্থীরা আবরার হত্যার পর থেকেই ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।বুয়েট প্রশাসন আন্দোলনের মুখে ইতিমধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে নোটিশও প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মাঠের আন্দোলনে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন প্রেক্ষাপটেই।