অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলীয় কোন্দল ভেঙে স্বচ্ছতা বজায় রেখে সৎ ও ত্যাগী নেতা নির্বাচিত করতে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের।তবে চেয়ারপারসন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে না।
দলের নেতাদের দাবি,গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই সরাসরি ভোটের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠলে দলের ভেতর যেমন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি তৈরি হবে,তেমনি সহজ হবে যেকোনো আন্দোলনে সফল হওয়া। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই প্রক্রিয়াকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।ক্ষমতার বাইরে থাকা দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর বিএনপিকে সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচি দিয়েও প্রতিপক্ষের কৌশলের কাছে পিছু হটতে হয়েছে বারবারই ।এই নিয়ে বিশদ আলোচনা দলীয় ফোরামে হলেও ব্যর্থতার মূল কারণ উঠে আসে নেতৃত্বের বিষয়টি। তাই মাঠের এই বিরোধী দল এবার ঘর গোছাতে কার্যকরী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
বিএনপি উদ্যোগ নিয়েছে,বিতর্কের ঊর্ধ্বে ওঠে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাউন্সিলের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচনের।দলের শীর্ষ নেতারা মনে করেন গঠনতান্ত্রিক এই প্রক্রিয়া দলীয় কোন্দল কমিয়ে ত্যাগী নেতা নির্বাচনে সহায়তা করবে।চেয়ারপারসনও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জানানো হয়,বেগম জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের দেশের বাইরে থাকার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে বিএনপি এখনই তা নিয়ে ভাবছে না।
তথ্যমতে জানাযায়-স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর মাহমুদ চৌধুরী খসরু বলেন,যে নিপীড়ন নির্যাতনের পরিবেশ গত ১০ বছর ধরে দেশে চলছে, এই পরিবেশে তো যেকোনো ধরনের রাজনীতি করাই বেশ কঠিন।যাদের জন্য কাজ করছি,তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে, তাদের চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।সেটা আমরা সেটা করব যত কষ্টই হোক।স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,সবাই অংশগ্রহণ করতে পারেন,মতামত দিতে পারেন,সে মতামতের ভিত্তিতে যখন সংগঠনের নেতৃত্ব বাছাই করা হয়,সেই নেতৃত্ব শুধু সঠিকই হয় না,রাজপথে যেকোনো কিছু মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এরা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন।আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া-পরবর্তী দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান।এই দুটি ব্যক্তিকে অনুপস্থিত রেখে আমরা কাউন্সিল করব,সেই কাউন্সিলটা কর্মীরা,সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবে,ভাববার বিষয় আছে সেটা নিয়েও।তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে বলছেন,এতে করে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্যতা পাবে।কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় বলেন,বিভেদ থাকে,দ্বন্দ্ব থাকে,দলীয় দ্বন্দ্ব থাকে,এগুলো ভেঙে যায়,এটা শুধু আমাদের জন্য উদাহরণ নয়,উদাহরণ বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর জন্য।সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন,যাতে কেউ অসুদপায়ে আসতে না পারেন,সেটাকে রোধ করার জন্য আমি মনে করি এটা একটা ভালো উদ্যোগ।যদি তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি হয়,সে কমিটি সব সময় সঠিক হবে এবং ভবিষ্যতে সেটা কাজে লাগবে আমাদের আন্দোলন সংগ্রামে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সাধুবাদ জানিয়েছে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনকে।তারা বলছেন, ত্যাগী নেতৃত্ব উঠে আসার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্যতা পাবে তৃণমূলের সিদ্ধান্ত।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের কমিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের ভোটকে গুরত্ব দেওয়া হয়, যা দলীয় ফোরামে প্রশংসা পায় এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে অন্য সংগঠনগুলোর ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই প্রক্রিয়া অনুসরণের।