অনলাইন ডেস্ক: ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে।এই নিয়ে আইসিসির তদন্তের ঘটনায় তোলপাড় চারদিক।এমন অবস্থায় খবর প্রকাশ হয়েছে নিষিদ্ধ হতে পারেন এই অলরাউন্ডার।এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান,সাকিবকে নিয়ে আইসিসির সিদ্ধান্তের বিষয়ে বেশি কিছু করার নেই বিসিবির।
প্রধানমন্ত্রী এই কথা জানান মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন।এই সংবাদ সম্মেলন হয় আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সদ্য সমাপ্ত ১৮তম জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন (ন্যাম) নিয়ে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,বিসিবি সব সময় সাকিবের সঙ্গে আছে।সব ধরনের সহযোগিতা তাকে দেওয়া হবে। তবে ওর উচিত ছিল ফিক্সিংয়ের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা।কিন্তু সে তা করেনি।গোপন না করে সেটা আইসিসিকে তার জানানো উচিৎ ছিল।সে এটা ভুল করেছে।আইসিসি যদি অবস্থান নেয়,সে ক্ষেত্রে আমাদের তো খুব বেশি কিছু করার থাকে না। তারপরেও আমাদের যা করার সেটা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ধর্মঘটের বিষয়ে বলেন,প্লেয়াররা হঠাৎ ধর্মঘট ডাকলো। তারা তাদের দাবি বিসিবিকে জানাতে পারতো।সেটা তারা করেনি।যাই হোক,পরবর্তীতে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।সেটা এখন মিটমাট হয়ে গেছে।আমরা যেভাবে খেলোয়াড়দের সাপোর্ট দেই।এটা হয়তো অন্য কোনো দেশ করে না।উল্লেখ্য,সাকিব দুই বছর আগে জুয়াড়িদের কাছে থেকে প্রস্তাব পেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন।কিন্তু তিনি গোপন করেন বিষয়টি। জানাননি আইসিসি বা বিসিবিকে।
বি: দ্র: ফাইল ছবি