অনলাইন ডেস্ক: সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কর্মকাণ্ডে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত।তিনি সম্প্রতি ক্রিকেটারদের ধর্মঘটকে পাপনের ব্যর্থতা বলে আখ্যায়িত করেন।সাবের হোসেন চৌধুরী এবার সাকিব ইস্যুতে পাপনকে রীতিমতো ধুয়ে দিলেন। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার শাস্তির বিষয়ে আগে থেকে পাপন কিছুই জানতেন না—বিসিবি সভাপতির এই কথা তিনি বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
বর্তমান বিসিবি সভাপতি ক্রিকেটারদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ অক্টোবর সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন,শিগগির ম্যাচ পাতানোর গোমর ফাঁস করা হবে।সাকিবের নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে একেই দায়ী করছেন সাবের হোসেন চৌধুরী।তার মতে,পাপন সব কিছু জানতেন।তবু উনি আইসিসির কাছে দেনদরবার করেননি।সাবের হোসেন চৌধুরী এই নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড টুইটারে বেশ কয়েকটি টুইট করেছেন।বিসিবির সংবাদ সম্মেলনে পাপন ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেই ভিডিও নিজের টুইটারে শেয়ার করে তিনি লিখেন,আমার মনে হচ্ছে বিসিবি সবকিছুই জানতো এবং পাপন সাহেব যে বলেছেন,তার কোনো ধারণাই ছিল না,কথাটা সত্য নয়।খারাপ লাগলেও বলতেই হচ্ছে। ২২ অক্টোবরের ভিডিও ক্লিপটা দেখলে মনে হবে,পাপন সাহেবের যেন তর সইছিল না আইসিসির ঘোষণার জন্য।
বিসিবির সাবেক সভাপতি আরেক টুইটে লিখেছেন,ভণ্ডামি,সর্বোৎকৃষ্ট/নিকৃষ্টের দ্বৈত চরিত্র।আইসিসির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে বিসিবি।ক্রিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমান আবেগই দেখিয়েছে।কিন্তু সংস্থাগত ম্যাচ ফিক্সিং দুর্নীতির মূলোৎপাটন না করে,ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটিকে আরও উৎসাহিত করছে বোর্ড। লজ্জাজনক!সাকিবের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াবে বিসিবি।বোর্ডের এমন আশ্বাস-বিশ্বাস করতে পারছেন না সাবের হোসেন চৌধুরী।অপর টুইটে সাবের হোসেন চৌধুরী লেখেন,কেউ অপরাধ করলে সুবিচার প্রাপ্য। বিসিবি অন্তত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারত।কিন্তু পরিতাপের বিষয়,এই ক্ষেত্রে সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি বোর্ড।মায়াকান্না দেখাচ্ছে অযথা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার দায়ে।এর মধ্যে এক বছর পুরোপুরি নিষিদ্ধ,আর বাকি এক বছরের সাজা স্থগিত। আবার মাঠে ফিরতে পারবেন সাকিব ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে।
বি: দ্র: তথ্য সংগ্রহকরা