সংবাদদাতা: মোহাম্মদ আবু তৈয়ব,কক্সবাজার সদর।
অনলাইন ডেস্ক: গত দুই বছর আগেও টেকনাফের আনাচেকানাচে দানখয়রাত, অনেকটা ভিক্ষা করে খাওয়া রোহিঙ্গা দিল মুহাম্মদ এখন কোটি টাকার মালিক। অনেকে ধারনা তার আয়ের উৎস ইয়াবা ও চাদাঁবাজি। হঠাৎ করে আলাদীনের আশ্চর্যপ্রদ্বীপ পাওয়া এই রহস্য মানব দিল মুহাম্মদের এই পরিবর্তনে এলাকায় ও চলছে নানা কানাঘুষা।
প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায় – ১৯৯২ সালের দিকে মায়ানমার থেকে স্বপরিবারে আসা রোহিঙ্গা দিল মুহাম্মদ প্রথমে সাবরাং ইউনিয়ন থাকলেও বর্তমানে ২ স্ত্রী সহ টেকনাফের সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বড়ইতলী গ্রামে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। সে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশী এনআইডি কার্ডও সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।সে বাংলাদেশী তাবলীগ জামাতে যোগ দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রহস্যজনক আসা যাওয়া করে । নিজেকে ধার্মিক পরিচয় দিতে তাবলীগ জামাতে যাতায়াত সহ টুপি, দাড়িকে সাইন বোর্ড হিসাবে ব্যবহার করে ভিতরে ভিতরে একজন পাক্কা ইয়াবা ব্যাবসায়ি বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
যার প্রমাণ হিসাবে দুই বছর আগের একজন বেকার ভিক্ষুক এখন ২ টি বাড়ী, ৩ টি পিকআপ, ২ টি সিএনজি, ২ টি টমটম সহ একাধিক ব্যবসা বাণিজ্যের মালিক হওয়াকে অনুমান করছেন সচেতন মহল।এখন তার সম্পদের পরিমাণ কোটির উপরে হবে বলে অনেকের ধারনা।
এই রোহিঙ্গা দিল মুহাম্মদ ক্যাম্পে বসবাস না করে স্থানীয়দের মত বসবাস করে যাচ্ছে। তাকে জায়গা বিক্রি ও অনৈতিক সুবিধে দিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জড়িত বলে প্রকাশ আছে । এড়াও টেকনাফের র্র্যাব ও পুলিশের বিশ্বস্ত সোর্স দাবী করে নিরহ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে এই রোহিঙ্গা দিল মুহাম্মদের বিরুদ্ধে।
তার হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার বিষয়ে এলাকার মানুষের মধ্যেও নানা কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে। নিরহ মানুষকে টেকনাফ থানা পুলিশের ভয় দেখিয়ে, মামলা থেকে বাচাঁনোর কথা বলে টাকা আদায় করা ও টাকা না দিলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলায় ডুকিয়ে দেয়া যার পেশা বলে জানা গেছে। তার অব্যহত চাদাঁবাজির কারনে এলাকার নিরহ অসংখ্য যুবক ঘর ছাড়া বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক প্রতিবেশী বলেন – গত দুই বছর আগেও দিল মুহাম্মদের সংসারের নানা অভাব অনটনের কারনে দুই স্ত্রীকে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বাড়ীর কাজ করতে দেখেছি, সে এখন কিভাবে কোটি টাকার মালিক হয়েছে আমি নিজেও বুঝতে পারছিনা। এ ব্যাপারে তার ব্যবহারিত মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি।
হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হওয়া টেকনাফের বড়ইতলী এলাকার এই রোহিঙ্গা দিল মুহাম্মদের আয়ের উৎস অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সচেতন মহল জোর দাবী জানিয়েছেন।