অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে,বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে।গতকাল রবিবার ইফতারি ও মাগরিব নামাজের পর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয় মিছিলটি।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীমিছিলে নেতৃত্ব দেন।বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে শ্লোগান দেনমিছিলে নেতাকর্মীরা।মিছিলেঅংশ নেন ছাত্রদল-যুবদলের নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা,জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন-রুনেসা।রুহুল কবির রিজভী মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন,অন্যায়ভাবে অসত্য মামলায়বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছে।এখন এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থাদেশে।মিডনাইট নির্বাচনের পর শাসকগোষ্ঠী আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে এক দু:শাসনের বৃত্তে জনগণকে আটকে রেখেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীবলেন,সম্পূর্ণরূপে হরণ করা হয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা,কথা বলা।জনগণকে ভয় দেখানোর জন্যগুম,খুন,বিচার বহির্ভূত হত্যা তথা রক্ত ঝরানোর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হয়েছেমহাদুর্নীতি ও অবাধে লুটপাট নিশ্চিত করার জন্যই।তাদের স্টিম রোলারচলছে জনগণের ওপর।কৃষকরা ক্ষেতের ধান পুড়িয়ে দিচ্ছে,শ্রমিকরা মজুরী না পেয়ে ইফতারির সময় শূন্য থালা নিয়ে বসে আছে। চারিদিকে শুধু হাহাকার ও দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শোনা যায়।আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কোন অস্তিত্ব নেই।খালেদা জিয়াকে এই মূহুর্তে মুক্তি দিতে হবে জাতিকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করতে। অন্যথায় জনরোষের মুখোমুখি হয়ে যবনিকার অন্তরালে চলে যেতে হবেসরকারকে।এই নৈরাজ্যকর অবস্থা চলতে পারে না।অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন,জাসাস সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান,বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল,বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন ভুঁইয়া শিশির,অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম,রুনেসার সভাপতি বাহাউদ্দিন বাহার,জাসাস সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রিপন,জাসাস সহ-সভাপতি জাহেদুল আলম হিটো,মহানগর জাসাস আহবায়ক মীর সানাউল হক,ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী,মোকাম্মেল কবির,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন,মাকসুদুর রহমান টিপু,রফিকুল ইসলাম স্বপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
(বি:দ্র:ছবি-তথ্য সংগ্রহকরা)